সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মরা চেলা নদীতে বালুখেকোদের তান্ডব, হুমকিতে রোপওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আব্দুল হকের প্রচারণা শুরু দেশ বদলাতে চাইলে নিজেকে বদলাতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন পথে যেতে যেতে : পথচারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বন্ধ হচ্ছে না চোরাচালান

এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য

  • আপলোড সময় : ০১-০৭-২০২৫ ০৮:৪৭:২৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০৭-২০২৫ ০৮:৪৭:২৯ পূর্বাহ্ন
এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য
স্টাফ রিপোর্টার :: সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি, টাস্কফোর্স অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা সত্ত্বেও থামছে না চোরাচালান। চোরাকারবারিরা কৌশল পাল্টালেও বিজিবির হাতে বারবার ধরা পড়ছে বিপুল পরিমাণ পণ্য। তবুও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে- এতো তৎপরতার পরও চোরাচালান কি বন্ধ হচ্ছে? গত ৩০ জুন গভীর রাতে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিণাপাটি গ্রামে একটি পরিত্যক্ত টিনশেড গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এ টাস্কফোর্স অভিযানে উদ্ধার হয় ৪,২৮৬ পিস ভারতীয় শাড়ি, ১৩ পিস লেহেঙ্গা, ৪,৯৯২ পিস কসমেটিকস এবং ২০,১২০ পিস চকলেট। এসব পণ্যের বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ কোটি ৫৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৫২০ টাকা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান হৃদয়। বিজিবি ও পুলিশের মোট ২০ সদস্যের একটি দল অভিযানে অংশগ্রহণ করে। বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল একে এম জাকারিয়া বলেন, ইদানীং বেশি মালামাল ধরা পড়ার অর্থ চোরাচালান বেড়েছে - তা নয়। বরং এটি বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযানিক কর্মদক্ষতার প্রতিফলন।” তিনি আরও জানান, “সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবুও একটি সুসংগঠিত চক্র বারবার সীমান্ত ব্যবহার করে অবৈধভাবে ভারতীয় পণ্য দেশে আনছে। আমরা থেমে নেই - প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।” সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুন মাসেই প্রায় ১৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৭৮ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ভারতীয় চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়েছে। প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে এতো বিপুল পরিমাণ চোরাচালানি পণ্য যেভাবে দেশের ভেতরে প্রবেশ করছে, তা রোধে শুধু বিজিবি নয়, শুল্ক বিভাগ, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সম্মিলিতভাবে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। সীমান্তজুড়ে আধুনিক প্রযুক্তির নজরদারি, স্থানীয় চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া দূর না হলে বিজিবির তৎপরতা সত্ত্বেও চোরাচালান পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে কিনা - তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ